হিন্দুস্তান টাইমস–এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশজুড়ে তীব্র অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ–র শীর্ষ নেতা ও মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে দ্রুত নিকটবর্তী একাধিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এর আগে চলতি সপ্তাহে অন্তর্বর্তী সরকার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে সিঙ্গাপুরে এয়ারলিফট করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরীফ ওসমান হাদি তাঁর আঘাতের কারণে মারা গেছেন।
ইউনুসের জাতির উদ্দেশে ভাষণ, বিচার ও সংযমের আহ্বান
হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, “আজ আমি আপনাদের সামনে অত্যন্ত হৃদয়বিদারক খবর নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের নির্ভীক অগ্রসৈনিক এবং ইনকিলাব মঞ্চার মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।”
তিনি এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আশ্বাস দেন। একই সঙ্গে দেশবাসীর প্রতি শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানান।
এ ঘটনায় সরকার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের খবর পাওয়া যাচ্ছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।



